গ্রাম: উত্তর পরুয়া পাড়া, ওয়ার্ড: ০১, ডাক:চুন্নাপাড়া,
উপজেলা: কর্ণফুলী, জেলা: চট্টগ্রাম।
মৌজা: ফুলতলী,
চট্টগ্রাম শহর থেকে সরাসরি কোন বাস সার্ভিস নেই। শহর থেকে রেন্টে-কার, ক্যাব, মাইক্রো বা সি.এন.জি বেবী ইত্যাদি রিজার্ভে আসা যাওয়ার জন্য ভাড়া করতে হবে। রেন্টে-কার, ক্যাব, মাইক্রো আসা যাওয়ার ভাড়া নূন্যতম ১৫০০ টাকা নিবে। সি.এন.জি স্কুটার বা বেবী আসা যাওয়ার জন্য নিবে ৬০০ টাকা। শুধু যাওয়া বা আসা এক পথ ৩০০ টাকা। এতে অনেক সময় ফিরতি পথে ঠিক মতো গাড়ী পাওয়া যায় না। তাই আসা-যাওয়ার জন্য গাড়ী রিজার্ভ করাই ভাল।
0
ফুলতলী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি উপকূলীয় সমুদ্র সৈকত। স্থানীয়দের কাছে এটির পরিচয় পারকীর চর হিসেবে। আর পর্যটকেরা এটিকে পারকী বিচ নামে পরিচয় দেন। চট্টগ্রাম শহর থেকে দৃষ্টিনন্দন এই বিচটির দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। তাই মাত্র এক ঘণ্টা সময়ের মাঝেই চট্টগ্রাম শহর থেকে এখানে চলে আসা যায়। এটি মূলত কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। অর্থাৎ কর্ণফুলী নদীর মোহনার পশ্চিম তীরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং পূর্বদক্ষিণ তীরে এই পারকী সমুদ্র্র সৈকত। চট্টগ্রাম সার কারখানা ও কাফকো যাওয়ার পথ ধরে এই সৈকতে যেতে হয়।
ফুলতলী সমুদ্র সৈকত যাওয়ার পথে দেখা মিলে নয়নাভিরাম নানা দৃশ্য। আঁঁকা বাকা পথ ধরে বিচের পথে যাবার সময়ই দূরে ছোট ছোট পাহাড়ের দেখা মিলে। এছাড়া নদীর তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিঃ (সিইউএফএল) ও কাফকোর দৃশ্যও পর্যটকদের প্রাণ জুড়ায়। আর পারকী সৈকতে যাওয়ার পথে কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রমোদতরীর আদলে নির্মিত ঝুলন্ত তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুটিও দেখবার মতো। সৈকতে প্রবেশের পথেই সরু রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ, সবুজ প্রান্তর আর মাছের ঘের চোখে পড়বে। তাছাড়া এই বিচে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো অসংখ্য ঝাউ গাছ আর ঝাউবনও রয়েছে। এখানে হালকা জলখাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে সৈকতে ঘোড়া চড়া, রাইডিং বোট, বসার জন্য বড় ছাতা সহ হেলানো চেয়ারের মতো বেশ কিছু ব্যবস্থা। এছাড়া মজার একটি খেলা 'রিংথ্রো' পাবেন। এতে ইচ্ছে করলে হাতের নিশানা প্র্যাকটিস করতে পারেন। তবে অন্য যেকোনো সৈকতের মতো পারকীরও সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কিন্তু সমুদ্র নিজেই। একটানা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত এই সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা বা পড়ন্ত বিকেলে সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হেঁটে বেড়ানোর আনন্দও তাই অতুলনীয়। মূলত শীতকালে বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকদের ভিড় বেশি হলেও বছরের অন্য যেকোনো সময়েও নিরিবিলি সমুদ্রের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে অনেকেই হাতে কিছুটা সময় নিয়ে চলে আসেন দেশের অন্যতম বড় এই সমুদ্র সৈকতটিতে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস